আপনার ঘরে যদি একটি মোবাইল বা একটি ল্যাপটপ থাকে তাহলে আপনি নিজেই নিজের পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারেন। তাহলে আজকে আমরা জানবো পাসপোর্ট আবেদন করার করতে কি কি লাগে ও তার নিয়মাবলী।

এই পুরো আর্টিকেলটিতে ই-পাসপোর্ট আবেদন করতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন ও আবেদন সিস্টেম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। বাংলাদেশ প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার ভিতরে ই-পাসপোর্ট সিস্টেম চালু করেছে।

আপনার একটি স্মার্টফোন বা একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকলেই কোনরকম দালালের স্বরনাপন্ন ছাড়া বা দালালের সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া অনলাইনে ই-পাসপোর্ট এর আবেদন করে ফেলতে পারেন।

আজকের ব্লগে আমরা শিখব কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট আবেদন ফরম অর্থাৎ বাংলাদেশ পাসপোর্ট অনলাইন ফর্ম পূরণ করবেন তার বিস্তারিত বিশদ আলোচনা বা অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম।

ই পাসপোর্ট আবেদন করতে কি কি কাগজ লাগে?

ই পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য আপনার কোন কাগজপত্র সত্যায়িত করার দরকার হবে না । কোনরকম সত্যায়িত ছাড়াই আপনি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। সামান্য কয়েকটা কাগজ দিয়েই পাসপোর্ট এর আবেদন করতে পারেন।
ই পাসপোর্ট করতে যে ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সেগুলো হচ্ছে।
১। আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম সনদ দিয়ে অবশ্যই ডিজিটাল হতে হবে (১৮ বছরের কম হলে জন্ম সনদ দিয়ে আবেদন করতে হবে ও ১৮ বছরের উপরে হলে আইডি কার্ড দিয়ে আবেদন করতে হবে)
২। আপনার কারেন্ট বিল বা গ্যাস বিল বা অন্যান্য বিলের কাগজ লাগবে এটি শুধু ঠিকানা প্রমাণপত্র হিসেবে প্রয়োজন হয়।
৩। পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র
৪। পেশাজীবী বা চাকরিজীবীদের ক্ষেত্রে তাদের পেশাগত সনদের ফটোকপি বা চাকরির আইডি কার্ড প্রয়োজন হবে।
৫। নাগরিকত্ব সনদ প্রয়োজন হবে।

৬। পাসেপোর্ট সাইজের 2 কপি ছবি

ই পাসপোর্ট এপ্লিকেশন সিস্টেম

ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য প্রথমে ভিজিট করুন www.epassport.gov.bd ওয়েবসাইটে। Online Apply Tab এ ক্লিক করে

Step 1: Check availability of e‑Passport in your region

Are you applying from Bangladesh? এখানে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে চান তাহলে Yes বাটনে টিক দিয়ে, আপনার জেলা নির্বাচিত করুন। তারপর আপনার জেলার কোন থানা থেকে আপনি কাগজপত্র জমা দিতে চান সেটি সিলেক্ট করুন। এবার Continue বাটনে চাপুন। এরপর আপনার একটি মেইল এড্রেস দিয়ে মোবাইল নম্বর ও নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্ট তৈরি করে মেইল এ্যাপস থেকে মেইল এড্রেসট ভেরিফাইড করে নিন। এবার Sign In করে Apply for a New Passport এ ক্লিক করুন।

আবেদনকারী তথ্য অবশ্যই আইডি কার্ড বা জন্ম নিবন্ধন অনুযায়ী পুরো ফর্মটি পূরণ করতে হবে। অনলাইনে ই পাসপোর্ট আবেদনটি খুব সতর্কভাবে পূরণ করুন কারণ কোন রকম ভুল হলে এটি সংশোধন করা খুবই জটিল।

ই পাসপোর্ট অনলাইনে আবেদন করার নিয়ম ছবি সহ দেখানো হল।

ই-পাসপোর্ট আবেদন করার জন্য www. epassport.gov.bd তে ভিজিট করে অ্যাপ্লাই অনলাইন মিনিটে ক্লিক করুন।

এখানে আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে চান তাহলে Yes বাটনে টিক দিয়ে, আপনার জেলা নির্বাচিত করুন। তারপর আপনার জেলার কোন থানা থেকে আপনি কাগজপত্র জমা দিতে চান সেটি সিলেক্ট করুন। এবার Continue বাটনে চাপুন। এরপর আপনার একটি মেইল এড্রেস দিয়ে মোবাইল নম্বর ও নাম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে একাউন্ট তৈরি করে মেইল এ্যাপস থেকে মেইল এড্রেসট ভেরিফাইড করে নিন।

এবার Sign In করে Apply for a New Passport এ ক্লিক করুন।

সাইন ইন হয়ে গেলে নিচের ছবির মত একট ইন্টারপেজ আসবে

এখান থেকে Apply for a New e-Password Option টিতে ক্লিক করে পরের অপশনটিতে চলে যাবে। যেটি দেখতে নিচের ছবির মত

Step :01: Passport Type:

এখান থেকে আপনি নরমালি Ordinary Passport এ ক্লিক করে Save and Continue তে যাবেন। আর যদি আপনি কোন সরকারের অনুমিত নিয়ে অন্য কোন অফিসিয়াল ভাবে Passport করতে চান বা অফিস আপনাকে করে দিবে যেখানে সমস্ত খরচ অফিস করবে তাহলে আপনি Official Passport অপশনটি চুজ করবেন।

Step :02: Personal Information:

Personal Informaion গুলো এনআইডি কার্ড অনুযায়ী তথ্য প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে Profession এর ক্ষেত্রে আপনার Profession যেটি আপনি সেটিই দিবেন ।

Setup 03: Address প্রদান করুন:

আইডি কার্ডের যেটি স্থায়ী ঠিকানা সেটি আপনি Permanent Address দিয়ে দিবেন ও Police Statition টি দিয়ে দিবেন। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা একই ব্যবহার করবেন তাহলে পুলিশ ভেরিফিকেশনে কোন প্রকার ঝামেলা পোহাতে হবে না। এখানে Regional Passport Office টি সিলেক্ট করবেন।

Step : 04: ID Documents:

এখানে আইডি ডকুমেন্টস এর পূর্বের কোন পাসপোর্ট করা আছে কিনা তা বলছে যদি থাকে Yes দিয়ে পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে রিনিউ করে নিতে পারেন। তবে যেহেতু আপনি নতুন পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করবেন সেহেতু আপনি NO Option টিতে ক্লিক করে আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নাম্বার দিয়ে পরবর্তী ধাপে চলে যান।


Step : 05: Parental Information:

এখানে আপনার পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী তাদের তথ্য দিবেন । পিতার পেশা বা প্রোফেশন এর জায়গায় Others অপশনটি দিবেন ও মাতার প্রেফেশন এর জায়গায় Housewife দিবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গার্ডিয়ান এর জায়গায় চাইলে দিতে পাবেন তবে না দিলে ক্ষতি নেই। এখন আসুন আপনার পিতা বা মাতা মৃত হলে তাদের প্রোফেশন এর জায়গায় Others/Unknown যেকোন একটি ব্যবহার করতে পারেন। এবং মৃত ব্যক্তির মৃত সনদ সংগ্রহ করতে হবে।

Step : 06: Spouse:

Spouse অপশনে আপনি সিঙ্গেল হলে সিঙ্গেল দিয়ে দিবেন আর যদি ম্যারিড হন অবশ্যই মেরিট স্ট্যাটাস দিয়ে দিবেন এবং আপনার Wife এর নাম আপনার Wife এর আইডি কার্ড অনুসারে দিবেন এবং তার প্রফেশন অবশ্যই হাউজ ওয়াইফ হবে যদি সে অন্য কোন প্রফেশন থাকে তাহলে সেটাও ব্যবহার করতে পারেন এবং আইডি কার্ড নাম্বার না দিলেও চলবে তারপর আপনি

Step:7: Emergency Contact:

Emergency Contact অপশনে আপনার পিতা অথবা মাতা অথবা যার কাছে ফোন করলে বা কোন সমস্যায় পড়লে কল দেয়া যাবে এরকম লোককে ইমারজেন্সি কন্টাকে দিতে হবে কারণ ইমারজেন্সি কন্টাক্ট নাম্বারটা পাসপোর্ট এর সাথে যুক্ত থাকে এক্ষেত্রে আপনার পিতা, মাতা, কিংবা স্ত্রীর এড্রেস দিবেন।

Step:8: Passport Option:

Passport Option ক্যাটাগরিতে এখানে আপনার পাসপোর্টটি ৪৮ পেজের হবে এবং পাঁচ বছরের জন্য ৪৮ পেজের একটি পাসপোর্ট ৪০২৫ টাকা এবং ১০ বছরের জন্য ৫৭৫০ টাকা এক একটি পাসপোর্ট এর খরচ। এখন আপনি আপনার কয় বছরের জন্য পাসপোর্টটি রাখতে চান বা কয় বছর মেয়েদের পাসপোর্ট করতে চান সেটা আপনার উপর নির্ভর করে। তবে 10 বছরেরটা করে নিলেই ভালো কারণ অল্প কিছু টাকার পার্থক্য এখানে আমি 10 বছরের সাজেস্ট করি।

Final Step: Delivery:

এটাই পাসপোর্ট এর সর্বশেষ এবং চূড়ান্ত ধাপ নিয়ে রেগুলার ডেলিভারি হচ্ছে ৩০ দিনের ভিতরে পাসপোর্টটি রেডি হয়ে চলে আসবে। আপনি রেগুলার ডেলিভারি সিলেক্ট করবেন আর যদি ইমারজেন্সি হয় তাহলে ইমারজেন্সি ডেলিভারি দিবেন। আমার পাসপোর্টটি ইমারজেন্সি তাই আমি এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ক্লিক করলাম। এখানে Express ডেলিভারিতে কিছুটা খরচ বেশি হবে। রেগুলার একটি ১০ বছরের জন্য পাসপোর্ট খরচ হচ্ছে ৫৭৫০ টাকা কিন্তু এক্সপ্রেস ডেলিভারিতে ৮০৫০ টাকা দিতে হবে তা আপনি যেহেতু এক মাস সময় নিবেন সেহেতু রেগুলার ডেলিভারি সিলেক্ট করবেন আর আমি একটু ইমারজেন্সি নিব এক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ দিনের ভিতরে চলে আসবে তাই আট হাজার ৫০ টাকা দিয়ে আমি পাসপোর্টটি করব।

এ পর্যায়ে আপনার আবেদনটি কমপ্লিট হয়ে গেলে আপনার অ্যাপ্লাইড কপি এবং সামারি কপি এই দুটি কপি প্রিন্ট করে টোটাল চারটা কপি প্রিন্ট করে আপনি ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে দিবেন এবং চাইলে আপনি বিকাশে টাকা জমা দিতে পারেন।

আপনি যদি কোন আবেদন করে ফেলেন তাহলে কিভাবে বাতিল করব।

আপনার কোন পাসপোর্ট ভুলক্রমে আবেদন করলে আবেদনটি বাতিল করার জন্য প্রয়োজন হতে পারে। আর এই জন্য আপনি অনলাইন থেকে আবেদনটি একবার সাবমিট হয়ে গেলে বাতিল করার কোন সুযোগ নেই আপনাকে অবশ্যই আপনার পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালকের কাছে লিখে আবেদন করে পাসপোর্টটি বাতিলের জন্য আবেদন করবেন।

পাসপোর্ট রিনিউ করার সিস্টেম।

কোন পাসপোর্ট এ মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলে পাসপোর্টটিকে অবশ্যই রিনিউ করে নিবেন যদি ব্যবহার করতে চান। রিনউ করার সুবিধা বা নিয়ম নিচে দেওয়া হল।

এমআরপি থেকে ই পাসপোর্টে রিনিউ করার যেসব সুবিধাঃ

তথ্য পরিবর্তন সুবিধা হলো বড় সুবিধা এমআরপি পাসপোর্ট থেকেই পাসপোর্ট রিনিউ করার। আপনার এন আইডি কার্ড ব্যবহার করে নতুন করে ই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন করা যাবে না যদি করেন তাহলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হবে। আর এতে করে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য সাত দিন থেকে ১০ দিন সময় বেশি যেতে পারে। প্রয়োজন ব্যতীত ঠিকানা সংশোধন করা উচিত নয়।

বাংলাদেশী ই পাসপোর্ট রিনিউ করার সিস্টেম।

পাসপোর্ট মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে আপনাকে অবশ্যই দেশ থেকে বা বিদেশ থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করতেই হবে। ই পাসপোর্ট রিনিউ করতে যেসব কাগজপত্র লাগে ও তার সিস্টেম নিচে দেওয়া হল।

বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট দেয়া শুরু করে ২০২০ সাল থেকে। একটি ইলেকট্রিক চিপ এর মাধ্যমে ই পাসপোর্ট এর সকল তথ্য সংরক্ষিত করা হয়। বর্তমানে বিশ্বের দেশ দেশগুলোতেও ই পাসপোর্ট প্রদান করা বা চালু করেছে। ই পাসপোর্ট এর সবচেয়ে বড় সুবিধা এর জন্য দীর্ঘ লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হয় না ইমিগ্রেশনের স্বয়ংক্রিয়ভাবে গেটের মাধ্যমে চেকিং ছাড়াই প্রবেশ করতে পারবেন।

আপনি বর্তমান সময়ে কোন এমআরপি পাসপোর্ট নিতে পারবেন না সবাইকে ই পাসপোর্ট নিয়ে যেতে হবে।

ই পাসপোর্ট রিনিউ করার সিস্টেম অর্থাৎ পাসপোর্ট রিনিউয়ালঃ

বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে ই পাসপোর্ট সেবা চালু করেছে বিধায় আপনার যে এমআরপি পুরনো পাসপোর্ট রয়েছে সেগুলোর সেবা কে আপডেট করে এমআরপি পাসপোর্ট গ্রহণ করতে হবে। অনলাইন থেকে আপনি নিজেই এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্টে কনভার্ট হতে পারবেন বা রিনিউ করতে পারবেন।

আপনি যখন পাসপোর্ট রিনিউ করবেন বা এমআরপি পাসপোর্ট থেকে ই পাসপোর্টে রূপান্তরিত করতে চান তখন আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনার যে স্মার্ট আইডি কার্ড আছে বা বা বর্তমানে যে আইডি কার্ড গুলো দেয়া হয়েছে সে আইডি কার্ড অনুসারে আপনাকে রিনিউ পাসপোর্ট করার জন্য নতুন আবেদন করতে হবে মনে রাখতে হবে আপনার পুরনো পাসপোর্ট এর বা এমআরপি পাসপোর্ট এর কোন তথ্য এখানে দেয়া যাবে না।

যাদের পুরাতন পাসপোর্ট সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে এজন্য তারাও রিনিউ করার সময় তা করতে পারবেন। এজন্য আপনার এনআইডি কার্ড জন্ম নিবন্ধন শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট সাথে রেখে সঠিকভাবে তথ্যগুলো প্রদান করতে হবে।

আপনার এমআরপি পাসপোর্টটি নিউ করার জন্য অবশ্যই আপনাকে এই পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করতেই হবে।

এক্ষেত্রে আপনাকে শুধুমাত্র আইডি ডকুমেন্টস এর অপশন থেকে আপনার পূর্ববর্তী এমআরপি পাসপোর্ট সিলেক্ট করে এর যে Expired Date এবং Passport No এবং ইত্যাদি তথ্য এগুলা দিলেই হবে।


পাসপোর্ট রিনিউ করতে যেসব কাগজপত্র প্রয়োজন হয়ঃ

১। আবেদনের সারাংশের প্রিন্ট কপি অর্থাৎ আবেদন কপি
২। জাতীয় পরিচয় পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ
৩। পূর্ববর্তী পাসপোর্ট এর ছবি অর্থাৎ যেই ছবিতে নাম ঠিকানা এবং ছবি পাসপোর্ট নাম্বার সহকারে থাকে
৪। চালান মানি অর্ডার ব্যাংক সার্টিফাইড চেকবুক
৫। আবেদনপত্রের প্রিন্ট কপি

পাসপোর্ট রিনিউ ফি কত?

নতুন আবেদনের মতোই খরচ হয় যেমন 48 পেজ 5 বছরের জন্য 4025 টাকা ও 10 বছরের জন্য 5750 টাকা।

আমেরিকা থেকে পাসপোর্ট রিনিউ করার নিয়মঃ

আপনি যদি আমেরিকায় হয়ে থাকেন আপনি আমেরিকা থেকেও পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন একই পদ্দতিতে। অনলাইন আবেদনের সময় আইডি ডকুমেন্ট সেকশনে আপনার এমআরপির যে পাসপোর্ট নম্বর সেটি দিয়ে সম্পূর্ণ করেও করতে হবে।

আমেরিকার বিভিন্ন শহরে যেমন আমেরিকার ওয়াশিংটন, নিউ ইয়র্ক এবং অন্যান্য শহরে বাংলাদেশ কাউন্সিলেটেড থেকে একটি পাসপোর্ট রিনিউ করার এম্বাসি বা কার্যক্রম শুরু করেছে । যেসব এম্বাসিতে ই পাসপোর্ট চালু করেনি সেখানে আপনি এমআরপি পাসপোর্ট রিনিউ করতে হবে।

প্রশ্ন


১। পাসপোর্ট এর রিনিউ ফি কত টাকা?
উত্তর নতুন পাসপোর্ট ফি পাঁচ বছরের জন্য 4025 টাকা এবং ১০ বছরের জন্য ৫৭৫০ টাকা।

২। পাসপোর্ট রিনিউ করতে কত দিন সময় লাগবে?
উত্তর পাসপোর্ট রিনিউ করতে ১০ থেকে ১৫ দিন সময় যেতে পারে।

৩। কতদিন আগে বাংলাদেশি পাসপোর্ট রিনিউ করা যায়?
উত্তরঃ আপনার পাসপোর্ট রিনিউ করার জন্য পাসপোর্ট এর মেয়াদ থাকাকালীন সময়ও পাসপোর্ট রিনিউ করতে পারবেন এতে আপনার কোন সময় ধরা বাধা নেই।

৪। জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ করা যায় কিনা?

উত্তরঃ বিশ বছরের কম হলে বা 19 বছরের কম হলে জন্ম নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট রিনিউ বা আবেদন করা যায় । ১ থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত জন্ম নিবন্ধন 19 বছরের পরে থেকে এনআইডি কার্ড দিয়ে রিনিউ করতে হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here