বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ভাতা প্রদান এর একটি সিস্টেম চালু করেছে । এর মধ্যে কিছু ভাতা রয়েছে যেগুলো নিচে বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে উল্লেখ করা হলোঃ

১। বয়স্ক ভাতা: ৬৫ বা তার বেশি বয়স্ক জনগোষ্ঠীদের জন্য এই বয়স্ক ভাতা চালু করা হয়েছে।

২‌ বিধবা ও স্বামী নিগৃত মহিলা ভাতা: স্বামী হারানো বা অর্থনৈতিক অসহায় মহিলাদের জন্য এ ভাতা চালু করা হয়েছে।

৩। প্রতিবন্ধী ভাতা: শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধীদের জন্য বা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এ ধরনের ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

৪। মাতৃত্বকালীন ভাতা: গর্ভবতী দরিদ্র নারীদের জন্য ও তাদের যত্ন কুষ্টি সহায় তার জন্য এ ধরনের ভাতা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

৫। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা: এ বাতা ১৯৭১ সন মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।

৬। আদিবাসী ভাতা: দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের জন্য এ ভাতার ব্যবস্থা হয়েছে।

৭। হিজড়া জনগোষ্ঠী ভাতা: হিজড়া জনগোষ্ঠীদের আর্থিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য হিজরা জনগোষ্ঠী ভাতা চালু করা হয়েছে।

৮‌। দুস্থ শিক্ষার্থী শিক্ষা ভাতা: দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা সহায়তার প্রদান হিসেবে এই ভাতা চালু করা হয়েছে।

৯। আশ্রয় প্রকল্প ভাতা: ভূমিহীন ও গৃহহীন জনগোষ্ঠীদের পুনর্বাসনের জন্য বা পুনর্বাসনের প্রক্রিয়ার জন্য এ ধরনের ভাতা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রতিটি ভাতার জন্য ভিন্ন ভিন্ন ভাবে আবেদন করতে হয়। আজকে আমরা দেখব কিভাবে প্রত্যেকটি ভাতার জন্য আবেদন করতে পারি তার বিস্তারিত তুলো ধরব।

বয়স্ক ভাতার আবেদন করার নিয়মঃ

বাংলাদেশে বয়স্ক ভাতা আবেদন করার জন্য কিছু নিয়ম মেনে আবেদন করতে হয় নিয়মগুলো নিম্মরুপঃ

১‌। আবেদনকারীর যোগ্যতা: বয়স্ক ভাতার আবেদন করার জন্য পুরুষদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৬৫ বছর হতে হবে এবং নারীদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৬২ বছর হতে হবে। আবেদনকারী অবশ্যই দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলেই এই বাঁচার জন্য গৃহীত হবে। আবেদনকারী সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডে বা পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশনের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।

আবেদন করার প্রক্রিয়াঃ

১‌। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর বা অফিস থেকে বয়স্ক ভাতার আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।

২। আবেদন পত্রে যেসব তথ্য চাইবে যেমন আবেদনকারীর নাম বয়স ঠিকানা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি যেসব প্রয়োজনীয় তথ্য চাইবে সেগুলো দিয়ে পূরণ করতে হবে।

৩। কাগজপত্র সংযুক্তি: আবেদনকারী কে আবেদন করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, নাগরিক সনদ সংগ্রহ করতে হবে।

৪। আবেদনপত্র জমা: আবেদনপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পূরণ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা কিংবা সমাজসেবা অফিস সে গিয়ে জমা দিতে হবে।

৫। পর্যালোচনা ও অনুমোদন: স্থানীয় ইউনিয়ন কিংবা পৌরসভা কিংবা সমাজসেবা অধিদপ্তর সমাজসেবা অফিস আবেদনটিকে যাচাই-বাছাই করবে এবং উপযুক্ত আবেদনকারীর তালিকা তৈরি করে অনুমোদন প্রদান করবে।

৬। ভাতা প্রদান: আপনি বয়স্ক ভাতার জন্য গৃহীত হলে আপনার নির্দিষ্ট মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে প্রতি মাসে বয়স্ক ভাতা প্রদান করবে।

বিধবা ও স্বামী-নিগৃত মহিলা ভাতা আবেদন করার নিয়মঃ

বাংলাদেশে বিধবা স্বামী নিগৃত মহিলা ভাতা পেতে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও যোগ্যতা রয়েছে সেগুলো থাকতে হবে। তবেই সে এ ভাতার আবেদন করতে পারবে। নিচে উক্ত ভাতার আবেদন প্রক্রিয়া ও নিয়মাবলী নিচে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলোঃ

আবেদনকারীর যোগ্যতাঃ

বিধবা: আবেদনকারীকে অবশ্যই বিধবা স্বামী নিগৃত বা পরিত্যক্ত হতে হবে। তবে এটা নিশ্চিত করতে হবে। এর কোন বয়সের সীমা নেই। আর্থিকভাবে অসচ্ছল হতে হবে। স্থানীয় ইউনিয়নের বাসিন্দা অর্থাৎ নাগরিকত্ব থাকতে হবে। এটা মনে রাখতে হবে যে আবেদনকারী যদি অন্যান্য সরকারি ভাতা যেমন বয়স্ক ভাতা মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ইত্যাদি ভাতা পেয়ে থাকে তাহলে এ বা তার জন্য আবেদন করতে পারবে না।

আবেদন প্রক্রিয়াঃ

১। আবেদন ফরম সংগ্রহ: স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা কিংবা উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত মহিলা ভাতার আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করে নিতে হবে।

২। ফরম পূরণ: আবেদনকরীকে ফর্মে যেসব তথ্য থাকবে সেসব তথ্য দিয়ে পূরণ করতে হবে।

৩। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র ফটোকপি, স্বামীর মৃত্যু সনদ বা স্থানীয় প্রতিনিধির প্রত্যয়ন পত্র যেখানে স্বামী মৃত্যু হয়েছে এমন কিছু উল্লেখ থাকবে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কিংবা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সুপারিশপত্র।

৪। আবেদনপত্র জমা: আবেদন ফরমটি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে বা আপনার নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভায় জমা দিবেন।

৫। পর্যালোচনা ও যাচাই: স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে আবেদন পত্রটি যাচাই বাছাই করবে এবং উপযুক্ত আবেদনকারীদের তালিকা তৈরি করে নিশ্চিত করবে।

৬। ভাতা প্রদান: আবেদন করার জন্য আপনি যে মোবাইলটি ব্যবহার মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করা হবে ওই মোবাইল নাম্বারটিতে বিকাশ কিংবা নগদ কিংবা অন্যান্য ব্যাংক একাউন্ট দিয়ে থাকলে সেসব অ্যাকাউন্টে আপনার টাকা চলে আসবে।

প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন করার নিয়মঃ

কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করেই বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়া যায়। নিচে প্রতিবন্ধী ভাতা আবেদন করার যে প্রক্রিয়া এবং প্রয়োজনীয় যেসব কাগজপত্রাদি লাগবে তা উল্লেখ করা হলোঃ

আবেদনকারীর যোগ্যতা:

প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন করার জন্য প্রথমে প্রতিবন্ধী কার্ড থাকতে হবে এবং তাকে আর্থিক ভাবে দরিদ্র বা অর্থনৈতিক অসহায় এবং স্থায়ী ঠিকানার বাসিন্দা হতে হবে।

আবেদন করার প্রক্রিয়া:

১। আবেদন ফরম সংগ্রহ: প্রতিবন্ধী বা তার আবেদন করার জন্য আবেদন ফরমটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা কিংবা উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে সংগ্রহ করে নিবেন।

২। ফরম পূরণ: প্রতিবন্ধী ভাতার আবেদন ফরমটি নাম ঠিকানা বয়স ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর প্রতিবন্ধী সনদ নম্বর প্রতিবন্ধিতার ধরন আর্থিক অবস্থা উল্লেখ করে ফরমটি পূরণ করুন।

৩। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি প্রতিবন্ধী সনদের ফটোকপি ও স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মেম্বার বা চেয়ারম্যান থেকে প্রত্যয়ন পত্র নিলেই হবে।

৪। আবেদন জমা: প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন ফরম পূরণ হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহকারে স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জমা দিতে পারেন কিংবা আপনার ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌরসভাতেও জমা দিতে পারেন।

৫। পর্যালোচনা ও বাছাই: স্থানীয় সমাজসেবা অফিস কর্তৃক আপনার আবেদনটি যাচাই-বাছাই করা হবে এবং আপনি উপযুক্ত বা পাওয়া প্রাপ্ত হলেই আপনাকে অবশ্যই বা তার জন্য গ্রহণ করা হবে।

৬। ভাতা প্রদান: নির্বাচিত ব্যক্তিদের মাসিক ভিত্তিতে মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাতা প্রদান করা হবে।

মাতৃত্বকালীন বা গর্ভকালীন ভাতার আবেদন করার নিয়মঃ

বাংলাদেশের মাতৃত্বকালীন বা গর্ভকালীন ভাতা অসহায় দরিদ্র ও গর্ভবতী নারীদের ভাতা প্রদান করা হয়। উক্ত ভাতার মাধ্যমে গর্ভবতী মা এবং শিশুর পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা লক্ষ্যে চালু করা হয়। তাই আজকে আমরা দেখব মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদন করার নিয়ম এবং তার যোগ্যতাঃ

আবেদনকারীর যোগ্যতাঃ

মাতৃত্বকালীন অবস্থা: আবেদনকারী অবশ্যই গর্ভবতী হতে হবে এবং প্রথম এবং দ্বিতীয় সন্তান এর ক্ষেত্রে ভাতা প্রযোজ্য হবে ।

আর্থিক অবস্থা: আবেদনকারী অবশ্যই দরিদ্র অসহায় ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল হতে হবে।

বয়স: আবেদনকারীর বয়স অবশ্য ২০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে হবে।

স্থায়ী ঠিকানা: আবেদনকারী অবশ্যই স্থায়ী ঠিকানার বাসিন্দা হবে।

অন্যান্য ভাতা প্রাপ্তি: আবেদনকারী যদি অন্যান্য সরকারি ভাতা যেমন বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা বা অন্যান্য ভাতা পেয়ে থাকে তাহলে এই ভাতাটি গ্রহণযোগ্য হবে না।

আবেদন প্রক্রিয়া: কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করে আবেদনটি সম্পন্ন করা যায় নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ

আবেদন ফরম সংগ্রহ: মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন ফরমটি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর কিংবা পৌরসভার অফিস থেকে সংগ্রহ করে নিবেন।

ফরম পূরণ: আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে গর্ভকালীন ভাতার যে ফর্মটি রয়েছে সেটি পূরণ করুন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: গর্ভকালীন ভাতার আবেদন করার জন্য আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ফটোকপি গর্ভাস্থতার প্রমাণ যেমন ডাক্তারি সনদ বা স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর প্রত্যয়ন পত্র এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সুপারিশপত্র।

আবেদন জমা: আবেদন পত্রটি স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জমা দিবেন।

পর্যালোচনা ও অনুমোদন: স্থানীয় সমাজসেবা অফিস আবেদনটি যাচাই করে এবং উপযুক্ত আবেদনকারীদের তালিকা তৈরি করে নিশ্চিত করবে।

ভাতা প্রদান: নির্বাচিত গর্ভবতী মায়েদের যে ফরম পূরণের যে ব্যাংকিং মোবাইল ব্যাংকিং নাম্বার দেয়া হবে বা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট দেওয়ার ভয়ে সেসব অ্যাকাউন্টে টাকা চলে আসবে।

স্বামী পরিত্যক্ত মহিলা ভাতা আবেদন করার নিয়মঃ

বাংলাদেশের স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের জন্য বিশেষ ভাতা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তাদের সার্বিক ভাবে আর্থিক সহযোগিতা ও সামাজিক নিরাপত্তারের কথা ভেবে এ ভাতা চালু করা হয়েছে। নিচে স্বামী পরিত্যক্ত মহিলার ভাতার আবেদন করার নিয়ম নিচে দেওয়া হলঃ

আবেদনের যোগ্যতা:

স্বামী পরিত্যক্ততা: আবেদনকারী অবশ্যই স্বামী পরিত্যাক্ততা হতে হবে এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধির প্রত্যয়ন দ্বারা নিশ্চিত করতে হবে।

আর্থিক অবস্থা: আবেদনকারী অবশ্যই দরিদ্র ও অসহায় হলে বেশি প্রাধান্য পাবে।

স্থায়ী ঠিকানা: আবেদনকারী অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কিংবা পৌরসভা কিংবা সিটি কর্পোরেশন এর স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

অন্যান্য ভাতা প্রাপ্তি: আবেদনকারী যদি সরকারি অন্যান্য ভাতা পেয়ে থাকেন বা ভাতা দিয়ে সুবিধা পেয়ে থাকেন তাহলে সে উক্ত ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবে না।

আবেদন করার প্রক্রিয়া:

আবেদন ফরম সংগ্রহ: আবেদনকারী কে অবশ্যই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা কিংবা উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে এসে স্বামীর পরিত্যক্ত মহিলার ভাতার আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।

ফরম পূরণ: আবেদন ফরমে আবেদনকারীর নাম ঠিকানা জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি স্বামীর সাথে সম্পর্কের তথ্য সঠিক ভাবে পূরণ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: উক্ত ভাতার আবেদন করার জন্য আবেদনকারীকে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ইউপি চেয়ারম্যান বা মেম্বার কর্তৃক স্বামী পরিত্যাক্তার প্রত্যায়ন পত্র এবং আর্থিক ও সচ্ছলতার প্রমাণস্বরূপ প্রত্যয়ন পত্র নিতে হবে ।

আবেদন জমা: আবেদন ফরমটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্থানীয় সমাজসেবা অধিদপ্তরে সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জমা দিতে হবে।

পর্যালোচনা ও বাছাই: স্থানীয় সমাজসেবা অফিস কর্তৃক আবেদনটি যাচাই বাছাই করা হবে এবং উপযুক্ত আবেদনকারীকে নির্বাচিত করা হবে।

ভাতা প্রদান: নির্বাচিত ব্যক্তির অবশ্যই তার যে মোবাইল ব্যাংকিং নাম্বার দেওয়া হবে অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার দেওয়া হবে সেসব অ্যাকাউন্টে টাকা চলে আসবে মাসিক ভিত্তিতে।

মুক্তিযোদ্ধা ভাতার আবেদন করার নিয়মঃ

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধাদের আর্থিক সহায়তা ও সম্মাননা প্রদানের জন্য সরকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা চালু করে থাকে। মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেতে কিছু নির্দিষ্ট শর্ত ও নিয়ম মেনে আবেদন করতে হয়। নিচে যেসব শর্তগুলো মুক্তিযোদ্ধা ভাতার আবেদন করতে হবে লাগবে তা সঠিকভাবে দেওয়া হল:

আবেদনকারীর যোগ্যতা:

স্বীকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতে হবে: আবেদনকারী কে বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধের তালিকা নিবন্ধিত ও স্বীকৃত সনদ থাকতে হবে।

মুক্তিযোদ্ধা সনদ: সরকার কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা সনদ নির্ভুল হতে হবে।

স্থায়ী ঠিকানা: আবেদনকারী কে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কিংবা পৌরসভার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

অন্যান্য ভাতা প্রাপ্তি: যারা অন্য কোন সরকারি ভাতা বয়স্ক ভাতা বিধবা ভাতা পাচ্ছেন তারা সাধারণত মুক্তিযোদ্ধা ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

আবেদন করার প্রক্রিয়া: মুক্তিযোদ্ধা ভাতার আবেদন করার জন্য যেসব প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে হয় তা নিচে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

আবেদন ফরম সংগ্রহ: মুক্তিযোদ্ধা ভাতার আবেদন ফরমটি স্থানীয় উপজেলা বা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট অফিস থেকে সংগ্রহ করে নিতে হবে।

ফরম পূরণ: ফর্মে আবেদনকারীর নাম ঠিকানা জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর মুক্তিযোদ্ধা সনদ নম্বর এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ: জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি, মুক্তিযোদ্ধা সনদের ফটোকপি, আবেদনকারীর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রমাণপত্র (প্রয়োজনীয় ভিত্তিতে), স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা পৌরসভার কাউন্সিলর থেকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ বা প্রত্যয়ন পত্র থাকতে হবে।
আবেদন জমা: পুরনকৃত আবেদন ফরম এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট অফিসে কিংবা সংশ্লিষ্ট উপজেলা সমাজসেবা অফিসে জমা দিতে হবে।

পর্যালোচনা ও বাচাই: আবেদন যাচাই-বাছাই করে উপযুক্ত আবেদনকারীদের তালিকা তৈরি করে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট বা সমাজসেবা অফিসে পাঠানো হবে।

ভাতা প্রদান: কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাংক একাউন্ট কিংবা মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে নির্ধারিত পরিমাণ মাসিক ভাতা প্রদান করা হবে।

আদিবাসী ভাতা আবেদন করার নিয়মঃ

বাংলাদেশে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য আর্থিক সহায়তা ও সামাজিক নির্মাতা নিশ্চিত করতে আদিবাসী চালু করেছে ‌। আদিবাসী ভাতা আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ও আবেদন প্রক্রিয়া নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

আবেদনকারীর যোগ্যতা:

আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য হতে হবে: আবেদনকারীকে অবশ্যই সরকার কর্তৃক স্বীকৃত আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য হতে হবে।

আর্থিক অবস্থা: দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের সদস্য হতে হবে।

স্থায়ী ঠিকানা: আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কিংবা উপজেলা কিংবা পৌরসভা স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

অন্যান্য ভাতা: আবেদনকারী সরকারি অন্যান্য ভাতা যেমন সামাজিক সুরক্ষা ভাতা যদি পেয়ে থাকে তারা এ ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবে না।

আবেদন করার প্রক্রিয়া: আদিবাসী জনগোষ্ঠীদের জন্য আদিবাসী ভাতা আবেদন প্রক্রিয়া নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

আবেদন ফরম সংগ্রহ: স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা উপজেলা সমাজসেবা অফিস কিংবা পৌরসভা অফিস থেকে আদিবাসী ভাতার আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।

ফরম পূরণ: আবেদন ফরমে আবেদনকারীর নাম ঠিকানা জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার আর্থিক অবস্থা সহ অন্যান্য তরকারি পূরণ করে দিতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আবেদনকারী জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটো ফটোকপি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান বা মেম্বার থেকে প্রাপ্ত আদিবাসী পরিচয় এর প্রত্যয়ন পত্র ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা চেয়ারম্যান বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সুপারিশপত্র বা প্রমান পত্র।

আবেদন জমা: প্রকৃত আবেদন ফরমটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে জমা দিতে হবে।

পর্যালোচনা ও বাচাই: স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে আবেদনটি যাচাই করে উপযুক্ত আবেদনকারী তালিকা তৈরি করবে।

ভাতা প্রদান: নির্বাচিত ব্যক্তিরা মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ যে ভাতা দেওয়া হবে মাসিক ভিত্তিতে তা উক্ত একাউন্টে পাঠানো হবে।

হিজড়া জনগোষ্ঠী ভাতা আবেদন করার নিয়ম:

বাংলাদেশ হিজড়া জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার হিজরা ভাতা চালু করে। এই ধরনের ভাতা পেতে নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা আবেদন অনুসরণ করতে হবে প্রত্যেকটি হিসাব নাগরিককে। নিচে হিজড়া ভাতার আবেদন করার নিয়মগুলো তুলে ধরা হলোঃ

আবেদনকারীর যোগ্যতা:

হিজড়া জনগোষ্ঠীর সদস্য: আবেদনকারীকে সরকার কর্তৃক স্বীকৃত হিজড়া জনগোষ্ঠীর পূর্ণাঙ্গ লিখিতভাবে সদস্য হতে হবে।

আর্থিক অবস্থা: দরিদ্র ও আর্থিকভাবে অসচ্ছল হতে হবে।

স্থায়ী ঠিকানা: আবেদনকারীকে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ বা ওয়ার্ড বা পৌরসভা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

অন্যান্য ভাতা প্রাপ্তি: আবেদনকারী সরকারের অন্যান্য যেসব ভাতা প্রদান করে সেসব ভাতার আওতায় থাকলে উক্ত ভাতার জন্য আবেদন করতে পারবে না।

আবেদন করার প্রক্রিয়া:

আবেদন ফরম সংগ্রহ: স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা কিংবা সমাজসেবা অফিস থেকে উপজেলা সমাজসেবা অফিস থেকে হিজরা ভাতার আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।

ফরমপূরণ: ফর্মে আবেদনকারীর নাম বয়স ঠিকানা জাতীয় পরিচয় পত্র আর্থিক অবস্থাসহ নিজ হাতে পূরণ করতে হবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি স্থানীয় প্রতিনিধি যেমন ইউপি চেয়ারম্যান বা মেম্বার থেকে প্রাপ্ত সনদ এবং আর্থিকভাবে অসচ্ছলতার প্রমাণপত্র বা প্রত্যয়ন পত্র।

আবেদন জমা: ভাতা আবেদন ফরম এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্থানীয় সমাজসেবা অফিসে জমা দিতে হবে।

ভাতা প্রদান: নির্বাচিত ব্যক্তি মোবাইল ব্যাংকিং অথবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যেটা প্রদান করবে ওই অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা মাসিক ভিত্তিতে চলে আসবে।

দুস্থ শিক্ষার্থী শিক্ষা ভাতা আবেদন করার নিয়মঃ

বাংলাদেশে অনেক দরিদ্র দুস্থ শিক্ষার্থী রয়েছে বা শিক্ষার্থীর পরিবার রয়েছে যারা শিক্ষা গ্রহণ করাতে অর্থনৈতিক সমস্যায় থাকে। তাদের পড়াশোনার খরচ বহন করতে দুস্থ শিক্ষার্থী শিক্ষা ভাতার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এ ভাতার আবেদন করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম ও যোগ্যতা রয়েছে যা নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

আবেদনকারীর যোগ্যতা:

অর্থনৈতিক অবস্থা: আবেদনকারী অর্থনৈতিক অবস্থা আর্থিকভাবে অসচ্ছল হতে হবে অবশ্যই এর জন্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বার কর্তৃক আর্থিক অসচ্ছলতার একটি প্রমাণ পত্র সংগ্রহ বা প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করতে হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারী কে স্কুল কলেজ কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী অর্থাৎ অনিয়মিত হলে চলবে না নিয়তে শিক্ষার্থী হতে হবে ‌

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়ন পত্র: আবেদনকারী যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে পড়াশুনা করবে সে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি অর্থনৈতিক সচ্ছলতার ভিত্তিতে বা সুপরিষপত্র হিসেবে একটি প্রত্যয়ন পত্র সংগ্রহ করবে।

শিক্ষার ফলাফল: শিক্ষার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার ফলাফল তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জি পি এর কোন প্রয়োজন হয় না।

আবেদন করার প্রক্রিয়াঃ

আবেদন ফরম সংগ্রহ: স্থানীয় সমাজসেবা অফিস কিংবা উপজেলা শিক্ষা অফিস কিংবা সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দরিদ্র শিক্ষার্থী ভাতার আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।

ফরম পূরণ: আবেদনকারী বা শিক্ষার্থী তার নাম বয়স ঠিকানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম শ্রেণী ও জন্ম নিবন্ধন জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে ফর্মটি নিজ হাতে পূরণ করবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আবেদনটি করার জন্য শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের ফটোকপি বা জাতীয় পরিচয় পত্র (যদি থাকে) এবং শিক্ষার্থীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রত্যয়ন পত্র যেখানে সে পড়াশোনা করছে বা করিতেছে এবং আর্থিক অসচ্ছলতার সনদপত্র ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিতে হবে। অনেকে ক্ষেত্রে রেজাল্টের প্রয়োজন হতে পারে তাহলে রেজাল্টের একটি মার্কশিট সাথে জমা দিয়ে দিবেন।

আবেদন জমা: পুরনকৃত আবেদন ফরম এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা অফিস কিংবা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জমা দিবেন।

পর্যালোচনা ও বাছাই ও ভাতা প্রদান: শিক্ষা অফিস বা সমাজসেবা অফিস আপনার আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে আপনাকে উপযুক্ত মনে হলে ভাতার জন্য আপনার লিস্ট তৈরি করবে এবং নির্বাচিত ব্যক্তিদের যে ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করবে বা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করবে সে ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা চলে আসবে।

আশ্রয় প্রকল্প ভাতার আবেদন করার নিয়মঃ

বাংলাদেশে আশ্রয় প্রকল্প টি দরিদ্র ভূমিহীন জনগোষ্ঠী কে বাসস্থান ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়ে আসছে। এ প্রকল্পের আওতায় ভাতা বা অন্যান্য সুবিধা পেতে হলে সামান্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার প্রক্রিয়া নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

আবেদনকারীর যোগ্যতা:

ভূমিহীন ও গৃহহীন হওয়া: আবেদনকারী কে সম্পন্নভাবে গৃহহীন ও ভূমিহীন হতে হবে। তার জমি জমা থাকলে তাকে ঘর উঠিয়ে দেওয়ার বা ঘর নির্মান করে দেয়া হয়। যদি কোন জমি না থাকে তাহলে জমি তাকে জমিসহ ঘর নির্মান করে দেয় হবে।

আর্থিক অবস্থা: অবশ্যই তাকে আর্থিকভাবে দরিদ্র ও অসচ্ছল থাকতে হবে।

বৈবাহিক অবস্থা: ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের যদি একজন মাত্র উপার্জনকারী হয় তাহলে তাদের অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হবে।

স্থায়ী ঠিকানা: আবেদনকারী অবশ্যই সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন কিংবা ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা হবে।

আবেদন করার প্রক্রিয়া:

আবেদন ফরম সংগ্রহ: ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা পৌরসভা কিংবা উপজেলা প্রশাসন অফিস থেকে আশ্রয় প্রকল্পের আবেদন ফরমটি সংগ্রহ করতে হবে।

ফরমপূরণঃ আবেদন ফরমেও আবেদনকারীর নাম ঠিকানা এন আই ডি বা জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর পরিবারের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে আর্থিক অবস্থা এবং সম্পত্তির তথ্য পূরণ করে ফর্মটি সঠিকভাবে নিজ হস্তে পূরণ করবেন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: আবেদন করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি দরিদ্রতার প্রমাণস্বরূপ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির প্রত্যয়ন পত্র বা ভূমিহীনতার প্রমাণপত্র বা ভূমিহীন সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

আবেদনপত্র জমা: আবেদন ফরমটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নির্বাহী অফিস বা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জমা দিবে।

পর্যালোচনা ও যাচাই : আপনার আবেদনটি স্থানীয় প্রশাসন বা সমাজসেবা অফিসে আবেদন যাচাই-বাছাই করবে এবং উপযুক্ত আবেদনকারী কে তালিকাভুক্ত করে নিবে তারা।

সুবিধা প্রদান: নির্বাচিত আবেদনকারীদের জন্য আশ্রয় প্রকল্প আওতায় বাসস্থান ও অন্যান্য সুবিধা দি প্রদান করবে।

আশ্রয় প্রকল্পের সুবিধা সমূহ:

১। আশ্রয় প্রকল্পের অধীনে ঘর প্রদান করা।
২। নির্দিষ্ট পরিমাণ মাসিক ভাতা প্রদান ।
৩। স্বাস্থ্য শিক্ষা সামাজিক নিরাপত্তা সহায়তা দিবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here